নিয়ন্ত্রক সংস্থা অকার্যকর অনলাইনে উপর্যুপরি প্রতারণা

Total Views : 132
Zoom In Zoom Out Read Later Print

ডিজিটাল মাধ্যমে একশ্রেণী নির্বিঘ্নে প্রতারণা করে যাচ্ছে। প্রতারকরা অনলাইনে জাল বিছিয়ে সাধারণ মানুষকে ফতুর করছে। এগুলোকে জনগণের অর্থের হরিলুট বলা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কী ভূমিকা সেটি সামনে আসছে। প্রথমবার যখন জালিয়াতি হয়, এরপর ব্যবস্থা নেয়া হলে এর হোতারা শাস্তি পেত। পরে অন্য কেউ এই অপকর্মে উৎসাহিত হতো না। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, একই জালিয়াত চক্র ভিন্ন ভিন্ন নামে অপরাধ করছে; বরং তাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রুপ। এতে করে অনলাইনে অপরাধী চক্র রমরমা বলতে হবে। অন্য দিকে ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন রয়েছে। সেই আইনে বিচারের চেয়ে হয়রানির অভিযোগ অনেক বেশি। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা রয়েছে। অন্য দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোও যেন হাত পা গুটিয়ে আছে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর অনলাইনে বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এখনো মানুষের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যাপার একেবারে অরক্ষিত রয়েছে। অশুভ চক্র অ্যাপ খুলে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। প্রতিদিন এতে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন, জুয়া, জালনোটের কেনাবেচা, ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন চলছে। এগুলোকে শনাক্ত করে অবৈধ কাজের জন্য বিচারের আওতায় আনার তৎপরতা দৃশ্যমান নয়। তবে এজেন্সিগুলোকে অনলাইন নিয়ে সচেতন দেখা যায় সরকারের সমালোচকদের ব্যাপারে। দেশের ভেতরে কেউ সরকারের সমালোচনা করলে তাকে ধরে এনে বিচার করা হচ্ছে। আবার দেশের বাইরে থেকে যারা অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছে তাদের প্রতিরোধে এমন কোনো কাজ করতে বাকি রাখছে না সংস্থাগুলো। তাদের প্রচার প্রচারণা বন্ধ করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করছে সরকার। আধেয় সরানোর জন্য গুগলের কাছে সরকার যে আবেদন করেছে তার প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে সমালোচনা কিংবা নেতাদের মানহানিসংক্রান্ত। যদিও সরকার কিংবা ব্যক্তি বিশেষের সমালোচনা অপরাধ নয়।

See More

Latest Photos