গত চার দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার আট সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খুলে দেয়া হয়েছে ব্যারেজের ৪৪টি গেট।
তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুইছুই,৪৪ গেট খুলে দেয়া হয়েছে





২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক আট সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদিন ইসলাম জানান, সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আট সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।
বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার পুকুর ও বিলের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চর এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। চরের লোকজনের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।