মাথা কেটে অন্যের নামে মামলা, অতঃপর...

Total Views : 50
Zoom In Zoom Out Read Later Print

মাদারীপুরে মাথা কেটে অন্যের নামে মামলা দিতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার শান্তিনগর এলাকায়। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর থানার ওসি।

স্থানীয়রা জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি এলাকায় ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্থানীয় শহিদ মোল্লার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করেন পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু বখাটেরা।তারই সূত্র ধরে গত দুদিনে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে শহিদ মোল্লার ভাগনে শান্তিনগর এলাকার চান্দু হাজির ছেলে অহিদ শহিদ মোল্লার পক্ষ নিয়ে দ্বন্দ্বের নেতৃত্ব দেন। দুপক্ষের দ্বন্দ্বে অহিদ গ্রুপের আকাশ নামে এক কিশোর সামান্য আহত হয়।

পরে সোমবার রাতে রাস্তি এলাকার হাকিম বেপারীর বিরুদ্ধে মামলা দিতে শান্তিনগর এলাকার সিরাজ বেপারীর ছেলে আকাশের মাথা কেটে হাসপাতালে ভর্তি করেন চান্দু হাজী ও তার ছেলে অহিদ। পরবর্তীতে আকাশের অভিভাবকরা জানতে পারে অহিদসহ কয়েকজন ডাক্তার দিয়ে আকাশের মাথা কেটে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ভর্তি করে এবং হাকিম বেপারীর বিরুদ্ধে মামলা দিতে আকাশের মাকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু আকাশের মা সামসুন্নাহার বেগম হাকিম বেপারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ না দিয়ে উলটো অহিদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

ভুক্তভোগী কিশোর আকাশ জানায়, আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্লাবে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডাক্তার ডেকে অবশ করার ইনজেকশন দিয়ে আমার মাথা কেটে এরপর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। 

ভুক্তভোগী কিশোর আকাশের মা সামসুন্নাহার বেগম বলেন, যারা মামলা দেওয়ার জন্য আমার ছেলের মাথা কাটতে পারে তারা তো আমার ছেলেকে হত্যা করেও মামলা দিতে পারে। তাই আমি উলটো ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই। 

অভিযুক্ত অহিদ বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। এটি ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। 

হাকিম বেপারী বলেন, আমাকে ফাঁসাতে গিয়ে একটি ছেলের মাথা কেটে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সত্য উদঘাটিত হলে এখন উলটো ওদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

See More

Latest Photos