পদত্যাগী বিএনপি সভাপতির সঙ্গে নেতাকর্মীরা একাট্টা

Total Views : 141
Zoom In Zoom Out Read Later Print

চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির পদত্যাগকারী উপজেলা সভাপতির সঙ্গে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহেরের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আবু তাহের (আনারস) ও যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুর রহমান চৌধুরী (কই মাছ) এবং উপজেলা বিএনপির পদত্যাগকারী সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নির্বাচনে আবু তাহের ও লিয়াকত হাসানের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। তারা দুজনই বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ছিলেন। এর মধ্যে আবু তাহের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও দেওরগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ভাষ্য, উপজেলায় আওয়ামী লীগের বলিষ্ঠ নেতা আবু তাহেরের সঙ্গে দলীয় প্রায় সব নেতাকর্মী কাজ করছেন।

অন্যদিকে, বিএনপির রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত প্রার্থী আছেন একজনই। তাই শেষ পর্যন্ত দলটির পদত্যাগকারী নেতার সঙ্গেই লড়াই করতে হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর। তবে আওয়ামী লীগের অপর প্রার্থী থাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা সুযোগ নিতে চাইছেন।

দল থেকে লিয়াকত হাসান পদত্যাগ করলেও নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে একাট্টা হয়ে কাজ করছেন। এখানে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের কোনো কর্মসূচিও নেই।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিএনপিসহ এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী লিয়াকত হাসানের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণায় রয়েছেন। জেলা ও মাঠ পর্যায়েও সমর্থন রয়েছে তার। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে লিয়াকত হাসান বলেন, ‘আমি এর আগে দুবার নির্বাচন করেছি।’ দল ক্ষমতায় না থাকলেও এবার জনগণ আমার দিকেই আসবে বলে তিনি মনে করেন।

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু তাহের। তার পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী সক্রিয় রয়েছেন।

আবু তাহের বলেন, ‘আমি ২০১৪ সাল থেকে পাঁচ বছর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। উপজেলার সর্বত্র উন্নয়ন করেছি। এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে আমার আমলের উন্নয়নের চিহ্ন নেই। তাছাড়া চা-বাগানের বিশাল ভোটার আমার সঙ্গে রয়েছেন। আমি তাদের উন্নয়নে সবসময় অগ্রাধিকার দেই। পাঁচ বছর চেয়ারম্যান পদে না থাকলেও জনগণের সঙ্গে ছিলাম এবং আছি। আবারও তাদের দায়িত্ব পালন করতে চাই। নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও যোগাযোগ এবং অবহেলিত চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করব।’

আওয়ামী লীগের অপর প্রার্থী লুৎফুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘চুনারুঘাটকে  ডিজিটাল স্মার্ট উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। সাধারণ ভোটাররা আমার সঙ্গে আছেন। আমি ভোট প্রার্থনায় যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’

See More

Latest Photos