ভোগ্যপণ্যের সংকট নেই, তবু দাম বাড়ছে

Total Views : 60
Zoom In Zoom Out Read Later Print

দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজারে গুদাম ভোগ্যপণ্যে ঠাসা। তবুও অস্থির পণ্যের দাম। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ভোগ্য এ পণ্যটির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১০৫ টাকায়। পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভোজ্যতেল ও আলুর দাম। ভোজ্যতেল প্রতি লিটারে বেড়েছে ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। মূলত ভারতীয় পেঁয়াজের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এদিকে পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার প্রভাবে খুচরা বাজারেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। যদিও পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই।

চট্টগ্রামে বাজারে নজরদারির অভাবে দিন দিন অস্থির হয়ে পড়ছে ভোগ্যপণ্যের বাজার। কোনো পণ্যের দামই কমার লক্ষণ নেই। সরকার নির্ধারিত দাম কাগজে-কলমে থাকলেও বাজারের কোথাও সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না। বেশির ভাগ পণ্যই অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের দ্বিগুণের চেয়ে বেশি দামে। অথচ আলু সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের আমদানিকারক ও কমিশন এজেন্ট বা আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম কমতে দিচ্ছে না। তারা পুরো বাজারকে জিম্মি করে অতিরিক্ত দামে পণ্যটি বিক্রি করছে। অথচ আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির খবর ছড়িয়ে পড়লেই কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে যেত। এবার সেরকম কিছু ঘটেনি।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত সরকার রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। তারপরও কমছে না পণ্যটির দাম।

See More

Latest Photos