বগুড়ার ধুনট উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি শামীম আহম্মেদ ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। উপজেলার বিলকাজুলী গ্রামের সুবাস সরকারের স্ত্রী আলো সরকার গত শনিবার ধুনট থানায় এ মামলা করেন। রোববার বিকালে ওসি সাইদুল আলম জানান, মামলা হয়েছে, তদন্তসাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার আসামিরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার বিলকাজুলী গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি শামীম আহম্মেদ (৪২), তার সহযোগী রুবেল আহম্মেদ (৩৫), আবদুস সালাম (৩৬), আবদুর রাজ্জাক (৫০) ও মঞ্জিল হোসেন (৪৫)।
চাঁদাবাজি মামলা ধুনটে কৃষক দলের সভাপতিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে





পুলিশ ও মামলা সূত্র জানায়, আলো সরকার একই গ্রামের রমজান আলীর কাছে তার কিছু জমি বিক্রি করেন। তিনি বায়নার ৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যাগে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি শামীম আহম্মেদ, তার সহযোগী রুবেল আহম্মেদ, আবদুস সালাম, আবদুর রাজ্জাক ও মঞ্জিল হোসেন তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এরপর ব্যাগে থাকা জমি বিক্রির বায়নার ওই টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেন।
এ সময় আসামিরা ছিনতাইয়ের কথা কাউকে না বলতে বাড়িঘরে আগুন, হত্যাসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। এতে আলো সরকার ভয়ে ও নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। একই দিন রাত ১০টার দিকে কৃষক দল নেতা শামীম আহম্মেদ তার সহযোগীদের নিয়ে আবারও আলো সরকারের বাড়িতে ঢোকেন। তারা তার স্বামী সুবাস সরকারে গলায় ছুরি ধরে আরও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তারা তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। বাধ্য হয়ে আলো বেগম শনিবার ধুনট থানায় শামীম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে টাকা ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দৃঢতার সাথে অস্বীকার করে ধুনট উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি শামীম আহম্মেদ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে হেয়প্রতিপন্ন ও তার সুনাম ক্ষুণ্ন করতেই হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে দিয়ে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়েছেন।
শামীম দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।