আইসিসির এপ্রিলের সেরা ক্রিকেটার বনে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১১৬ রান ও ১৫ উইকেট নিয়ে এ কীর্তিটা গড়েছেন তিনি। এই কীর্তি বাংলাদেশের হয়ে আর ছিল মোটে দুজনের। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এবার মিরাজের নামটাও খোদাই হয়ে গেল সেখানে। এমন কীর্তি গড়ার পর মিরাজ আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ‘আইসিসির মাসসেরা হওয়াটা একটা অবিশ্বাস্য সম্মানের বিষয়। আইসিসির পুরস্কার যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য চূড়ান্ত স্বীকৃতি, বৈশ্বিক ভোটে সে স্বীকৃতি পাওয়াটা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার।’
মিরাজ যা বললেন তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে নজির গড়ে





এই পুরস্কার আরও এক অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিল তাকে। ২০১৬ অ-১৯ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় বনেছিলেন তিনি। সে স্মৃতি রোমন্থনে মিরাজ বলেন, ‘এই মুহূর্তগুলো আমাকে আমার পুরো যাত্রাটাকে মনে করিয়ে দেয়। ২০১৬ আইসিসি অ-১৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হওয়াটা ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেক বড় একটা অর্জন ছিল। এই পুরস্কারটা পেয়েও একই রকম স্পেশাল অনুভূতি হচ্ছে।’
তিনি জানান এই পুরস্কার ভবিষ্যতে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা যোগাবে তাকে। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। এই পুরষ্কারটা নিজের সেরাটা ঢেলে দিতে ও বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের সাফল্যে অবদান রাখতে আমার জন্য অনেক বড় একটা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ক্রিকেটার হিসেবে আমরা স্বপ্ন দেখি একটা প্রভাব রাখতে, ভক্তদের জন্য আনন্দ এনে দিতে চেষ্টা করি। আইসিসির কাছ থেকে এমন একটা স্বীকৃতি আমাকে আরও ভালোভাবে ও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে অনুপ্রাণিত করবে আমাকে। আমি আমার সতীর্থ, কোচ ও ভক্তদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, এই পুরস্কার তাদেরও।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেছেন ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। ১১৬ রান করেছেন ২ টেস্টে, আছে একটি সেঞ্চুরি। ১৫ উইকেট নিয়েছেন ১১.৮৬ গড়ে। সিলেটে প্রথম টেস্টে বল হাতে দারুণ করেছিলেন, দুই ইনিংসে তুলে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। তবু দলকে জেতাতে পারেননি অবশ্য।
দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি করে দলকে বড় রানের দিশা দিয়েছেন। এরপর বল হাতে ৩২ রান খরচায় ৫ উইকেট তুলে নিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল এক জয়। এমন পারফর্ম্যান্সের ফলে তিনি বনে গেছেন সিরিজ সেরা। শেষমেশ একই পারফর্ম্যান্স তাকে এনে দিয়েছে আইসিসির মাসসেরার পুরস্কারও।