কক্সবাজারের টেকনাফের গহীন পাহাড়ে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে নারী ও শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে পাচারের উদ্দেশে আটকে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
নারী-শিশুসহ ২৫ জন উদ্ধার পাচারের উদ্দেশে আটকে রাখা
তিনি বলেন, গোয়েন্দা সূত্র ও পূর্ববর্তী সময় আটক পাচারকারীদের দেওয়া তথ্যমতে জানা যায়- সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশে নারী ও শিশুসহ বেশ কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে টেকনাফের বাহারছড়ার জুম্মা পাড়া সংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনী কর্তৃক ওই এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে আভিযানিক দল পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে নারী ও শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করে। এ সময় যৌথবাহিনী ২ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরি এবং অল্প খরচে বিদেশ যাত্রার প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়া যেতে উদ্বুদ্ধ করে সাগরপথে পাচারের পরিকল্পনা করছিল।
পরবর্তীতে পাচারকারীরা তাদের সুবিধাজনক সময় মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উপকূল থেকে বোটে করে মালয়েশিয়ায় পাচার করার পরিকল্পনা করেছিল। তারা আরও জানায়, পাচারকারীরা তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টাও করছিল।
উদ্ধার ব্যক্তি ও আটক অপহরণকারীর বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান কমান্ডার সিয়াম।