তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ২০ নভেম্বর

Total Views : 23
Zoom In Zoom Out Read Later Print

টানা ১০ দিনের শুনানি শেষে ঐতিহাসিক মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করলো আপিল বিভাগ

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আপিল আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২০ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এই তারিখ ধার্য করেন। টানা দশ কার্যদিবস এই ঐতিহাসিক মামলার শুনানি চলে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের অন্য ছয় সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

আদালতে এই সংক্রান্ত রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। এছাড়া বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহামদ শিশির মনির। ইন্টারভেনর হিসেবে ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ এবং ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির শুনানি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। গত ২১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়েছিল।

মামলার ঐতিহাসিক পটভূমি

গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ মূল আপিল শুনানির অনুমতি দেন। এর ধারাবাহিকতায় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে পৃথক আপিল দায়ের করেন।

১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এই সংশোধনীর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট বিভাগ ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট ওই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করেন।

এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হলে ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারী পক্ষ আপিল করে। এর ভিত্তিতে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন।

ওই রায় ঘোষণার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ২০১১ সালের ৩ জুলাই তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন, যা পরে আপিলের অনুমতি পায়।

See More

Latest Photos