খেলা নিজেদের ঘরের মাঠে। যে কারণে উইকেট, আবহাওয়া এবং দর্শক সমাগম টাইগারদের পক্ষেই। তাছাড়া প্রতিপক্ষও শক্তিশালী কেউ নয় যে হতাশা কাজ করবে! অথচ তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে বাজে ফিল্ডিংয়ে হতাশ করল বাংলাদেশ দল। মঙ্গলবার সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে ৮ উইকেট শিকারে খরচ করতে হয় ২৭০ রান। ফিল্ডিংয়ে আরেকটু সিনসিয়ার হলে এই রানও খরচ হতো না। সিলেট টেস্টের প্রথম দিনেই বাংলাদেশ মিস করে ৫টি ক্যাচ। ক্রিকেটে প্রচলিত প্রবাদ হলো-ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। প্রথম দিনের খেলা দেখে আপেক্ষিক দৃষ্টিতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও; ব্যাটিংয়ে কতটা দক্ষতা দেখাতে পারবে তা হলফ করে বলা মুশকিল! আজ একের পর এক ক্যাচ ছেড়েছেন সাদমান ইসলাম অনিক, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই হাসান মাহমুদের দারুণ এক ইনসুইংগারে এলবিডব্লিউ হন অ্যান্ডি বলবার্নি। এরপর মিস ফিল্ডিং করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সিলেটে ক্যাচ মিসের মহড়া দিল
ইনিংসের চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ ওভারের মধ্যে তিনটি সহজ ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডাররা। নাহিদ রানার বলে দ্বিতীয় স্লিপে সাদমান ইসলাম ধরতে পারেননি স্টার্লিংয়ের ক্যাচ, তখন তার রান মাত্র ১০। একই স্কোরে দ্বিতীয় জীবন পান তিনি; মিরাজের হাত ফসকে। এছাড়া তাইজুল ইসলামও মিডউইকেটে কারমাইকেলের একটি ক্যাচ মিস করে হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। ফলে বদলি ফিল্ডার হিসেবে নামেন জাকের আলী অনিক।
বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের দুর্বলতাকে পুঁজি করে দারুণভাবে ইনিংস গড়েন পল স্টার্লিং। দুইবার জীবন পাওয়া স্টার্লিং তুলে নেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক। ৭৩ বল খেলে তিনি ৯টি চার মেরে ৬০ রানে ফিরেছেন। অন্য প্রান্তে কারমাইকেল ও নতুন মুখ জন নিলও কিছুটা দৃঢ়তা দেখানোর চেষ্টা করেন।
হাসান মাহমুদের বলে ১০ রানে তাইজুলের হাতে জীবন পান অভিষিক্ত ক্যাড কারমাইকেল। তিনি করেন ৫৯ রান। স্টার্লিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তিনি গড়েন আয়ারল্যান্ডের রেকর্ড ৯৬ রানের জুটি।
হাসান মুরাদের বলে ১১ রানে শান্তর হাতে জীবন পান লর্কান টাকার। কার্টিস ক্যাম্ফারের সঙ্গে তিনি গড়েন ৫৩ রানের জুটি। নিজে করেন ৪১ রান।
অভিষেকে ১ রানে ফিরতে পারতেন জর্ডান নিল। মুরাদের বলে তার ক্যাচ ছাড়েন মুশফিক। ব্যারি ম্যাককার্থির সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়া নিল থামেন ৩০ রান করে।
৫০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার মিরাজ। অভিষিক্ত মুরাদ ২ উইকেট নেন ৪৭ রানে। হাসান, নাহিদ ও তাইজুল নেন একটি করে।