টেস্ট ক্রিকেটের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য দুই স্তরে বিভাজনের প্রস্তাব আলোচনায় থাকলেও বিভিন্ন দেশের আপত্তি এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তা আপাতত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। বরং আইসিসি আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (ডব্লিউটিসি) দল সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে। পরবর্তী চক্রে ১২টি দল অংশ নেবে- যেখান জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানও অন্তর্ভুক্ত হবে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার রজার টুওসের নেতৃত্বে ওয়ার্কিং গ্রুপ সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসি বোর্ড সভায় এই সুপারিশ উপস্থাপন করেছে। ইতোমধ্যেই সদস্য দেশগুলো ২০২৭–২৯ সালের ডব্লিউটিসি চক্রের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পরিকল্পনা শুরু করেছে। প্রথমে দুই স্তরের প্রস্তাবটি কার্যকর করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে অর্থায়ন, র্যাঙ্কিং ও অবনমনের ঝুঁকি নিয়ে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে এটি বাতিল করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান নিম্ন র্যাঙ্কের কারণে সুযোগ কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। আর ইংল্যান্ড অবনমনের ঝুঁকি নিতে রাজি ছিল না।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ১২ দল নিয়েই হবে
বর্তমানে শীর্ষ ৯ দল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়। পরবর্তী চক্রে সব পূর্ণ সদস্য দেশ ১২টি দল হিসেবে অংশ নেবে, যদিও ম্যাচের সংখ্যা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
পাশাপাশি আইসিসি ২০২৩ বিশ্বকাপের পর বন্ধ হওয়া ওয়ানডে সুপার লিগ পুনরায় চালুর পরিকল্পনা করছে। এটি ২০২৮ সাল থেকে শুরু হতে পারে। ফলে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আরও কাঠামোবদ্ধ সূচি নিশ্চিত করা যাবে।
টি২০ বিশ্বকাপ ২০ দলের টুর্নামেন্ট হিসেবেই থাকছে, তবে ভবিষ্যতে এটাও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া অ্যাসোসিয়েট সদস্যদের নতুন গ্লোবাল কোয়ালিফায়ার সিস্টেম প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অলিম্পিক বাছাইপর্বের মতো হবে এবং প্রতিযোগিতা ও আয় উভয়ই বাড়াবে।