১৫১ দেশের স্বীকৃতির পরেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে না: নেতানিয়াহু

Total Views : 53
Zoom In Zoom Out Read Later Print

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও জোর দিয়ে বলেছেন যে, কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর তিনি এই মন্তব্য করেন। নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়াকে 'সন্ত্রাসীদের পুরস্কৃত করা'র শামিল বলে নিন্দা করেছেন এবং পশ্চিম তীরে আরও ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং পর্তুগাল সহ বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা দশকের পর দশক ধরে চলে আসা পশ্চিমা পররাষ্ট্রনীতিতে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন। এই পদক্ষেপের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক কঠোর বক্তব্যে পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, জর্ডান নদীর পশ্চিমে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি এই স্বীকৃতিকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য ‘বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

নেতানিয়াহু দাবি করেন যে, ফিলিস্তিনিদের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়া মানে সন্ত্রাসীদের পুরস্কৃত করা। তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সকল সার্বভৌম ক্ষমতা ইসরায়েলের হাতেই থাকবে। তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকা পশ্চিম তীরে নতুন ইহুদি বসতি নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি সই করেছেন, যা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ দখলদারিত্ব হিসেবে বিবেচিত। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়বে এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।

অন্যদিকে, অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে গাজায় চলমান সংঘাতের কারণে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, যা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ভয়াবহ মানবিক সংকটের সৃষ্টি করেছে।

See More

Latest Photos