বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেছেন, যারা গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তাদের কাছে প্রচুর অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ আছে। এ অর্থ তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার কাজে লাগাতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে আমরা এবার দুর্গাপূজায় সতর্ক আছি। আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের অনুরোধ করব, এত সুন্দর আয়োজনে যেন কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সবাই সতর্ক থাকবেন। মনে রাখতে হবে ধর্ম যার যার দেশটা সবার।
দেশকে অস্থিতিশীল করতে অর্থ খরচ করতে পারে ‘গণঅভ্যুত্থানে পরাজিতরা ’





সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে দুর্গাপূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, সদস্যসচিব সফিকুর রহমান সিতুসহ নেতাকর্মীরা।
এ সময় জি কে গউছ বলেন, আমরা যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি তারা প্রতিটি ধর্মের সমান মর্যাদা, অধিকার নিয়ে বসবাসের একটি পরিবেশ তৈরি করেছি। এটি যুগ যুগ ধরে আমাদের ঐতিহ্য। বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে সব ধর্মের মানুষ যেন শান্তিতে, নিরাপদে বসবাস করতে পারে সেজন্য মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর অনেকেই ভেবেছিলেন বাংলাদেশে দুর্গাপূজা করা সম্ভব হবে কিনা। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারা দেশে নেতাকর্মীদের কাজে লাগিয়েছেন যেন পূজা কোথাও উৎসবের বদলে বিষাদে পরিণত না হয়।
তখন আমাদের প্রশাসনের মনোবল অনেকটা ভেঙে গিয়েছিল। পুলিশের সংখ্যাও অনেক কমে গিয়েছিল। এ কঠিন সময়ে আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে দুর্গাপূজা সফল করতে পেরেছি। আমরা যদি সচেতন থাকি তাহলে দুষ্ট লোক হাজার চেষ্টা করেও কোথাও দুষ্টামি করার সুযোগ পাবে না। এ বছর মাঠে পর্যাপ্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই সক্রিয় আছে। গত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বছর আমরা মাঠে সক্রিয় আছি।
উল্লেখ্য, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এ বছর ১৬৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে জি কে গউছের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এসব পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খোঁজখবর নেন।