জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ঘিরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে রণক্ষেত্র সংসদ এলাকা: ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ৯০০ অজ্ঞাত আসামি





শনিবার (১৮ অক্টোবর) শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, "দায়ের করা সবগুলো মামলার বাদীই পুলিশ। এর মধ্যে একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট একটি মামলার বাদী হয়েছেন, এবং অন্য তিনটি মামলার বাদী শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।"
ঘটনাক্রম ও বিক্ষোভ
জানা যায়, গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ ভবন এলাকা। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে শতাধিক ব্যক্তি সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সকালে বিক্ষোভকারীরা প্রাচীর টপকে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশ কর্মকর্তা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা সারারাত ধরে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা সরতে রাজি হননি।
পরে শুক্রবার দুপুরে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই আন্দোলনকারীরা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং রাস্তায় টায়ার ও কাঠ জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে বৃষ্টির কারণে বিকালের আগে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি
অবস্থানকারীরা এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের শহীদ এবং আহতদের জুলাই যোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বলে জানান। সংঘর্ষ ও উত্তেজনার মধ্যেই অবশেষে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।