কিডনিকে সুস্থ রাখতে চান? আজই ছাড়ুন এই ৫ ক্ষতিকর অভ্যাস

Total Views : 14
Zoom In Zoom Out Read Later Print

ছোট ছোট বদভ্যাসের কারণে ক্রমে নষ্ট হতে পারে কিডনি। সকালে প্রস্রাবের চাপে পেট ফেটে আসে। তারপরেও কেউ কেউ বিছানা ছাড়তে চান না, প্রস্রাব চেপে রাখেন। একে কিডনির ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চলতে থাকলে পরবর্তীকালে অঙ্গটি স্বাভাবিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। কিডনি ভালো রাখতে গেলে কোন কোন বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে জেনে নিন।

. প্রস্রাব চেপে রাখা

এটি কিডনির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর অভ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রথলিতে চাপ বাড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চলতে থাকলে শুধু মূত্রথলিই নয়, এটি কিডনি পর্যন্ত চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, যা ধীরে ধীরে কিডনির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।

২. অপরিমিত জল পান

পর্যাপ্ত জল পান না করলে শরীরে টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ জমা হতে থাকে। কিডনির প্রধান কাজ হলো এই বর্জ্যগুলিকে শরীর থেকে বের করে দেওয়া। যদি আপনি কম জল খান, তাহলে কিডনিকে বেশি ঘনত্বযুক্ত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে হয়, যা তার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং অঙ্গটির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

৩. অতিরিক্ত নুন (লবণ) গ্রহণ

অতিরিক্ত নুন খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ হলো কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। অতিরিক্ত সোডিয়াম (নুন) গ্রহণের ফলে কিডনিকে তা ফিল্টার করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এটি দীর্ঘমেয়াদে কিডনির ফিল্টারিং ইউনিটগুলোকে (নেফ্রন) ক্ষতিগ্রস্ত করে।

৪. ব্যথানাশক ওষুধের অপব্যবহার

প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অনেকে সামান্য ব্যথায় ঘন ঘন ব্যথানাশক (OTC Painkillers) ওষুধ সেবন করেন। বিশেষ করে নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) যেমন আইবুপ্রোফেন, নেপ্রোক্সেন ইত্যাদি কিডনির রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা ক্রমান্বয়ে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ সৃষ্টি করে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের ওষুধ ঘন ঘন খাওয়া উচিত নয়।

৫. অপর্যাপ্ত ঘুম

ঘুমের অভাবকে সাধারণত শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মনে করা হয় না, কিন্তু এটি কিডনির ওপর প্রভাব ফেলে। কিডনি তার ২৪ ঘণ্টার কাজকে ঘুমের সময়ই নিয়ন্ত্রণ ও পুনর্গঠন করে। নিয়মিত কম ঘুমালে এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কিডনি ফাংশনে সমস্যা হতে পারে।

See More

Latest Photos