বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, নির্বাচন মানেই গণতন্ত্র নয়, নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান একটি জ্বালানি। এই যে গাড়িতে চাকা আছে, ইঞ্জিন আছে, সব আছে কিন্তু জ্বালানী না হলে কি গাড়ি চলবে? তেল ছাড়া গাড়ি চলবে না। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের জ্বালানী শক্তি, এটা ছাড়া গণতন্ত্র এগিয়ে যাবেনা। আজকে নানাভাবে নানান কথা বলে আমরা যে গণতন্ত্রের পথ চলা, আমরা একটা অর্জন করেছি; আমরা ফ্যাসিস্ট এর পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু প্রকৃত যে গণতন্ত্র, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, মানুষের ভোটের অধিকার, নাগরিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, নির্ভয়ে নিঃসংকোচে পরিবারের সাথে বেঁচে থাকার হাসিনা কেড়ে নিয়েছে। এখন সেগুলো ফিরিয়ে দেয়ার পালা। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে তার দায়িত্ব হচ্ছে সমাজকে, দেশকে নিঃসংকোচিত করা। আমরা সেই গণতন্ত্রের সুবাতাস বইয়ে দেয়ার জন্য কাজ করছি। সোমবার (২০ই অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফুলমুঁড়ি গ্রামের বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দৃষ্টিহীন গায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বিভিম্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পরপর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দেশের জনগনের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে একটা বড় ধরনের সিরিজ নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে, এটা জনগন মনে করছে, জনগনের মধ্যে এ শঙ্কাটি দেখা দিয়েছে। সিরিজ অব ইনসিডেন্ট যখন হয় তখন বুঝতে হবে এখানে কোনো কালো হাত কাজ করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার এবং হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ; এই বাংলাদেশ ঠিকমতো চলছেনা এটা আন্তর্জাতিকভাবে দেখানোর জন্য দেশী ও বিদেশী শক্তির হাত আছে।
গণতন্ত্রের জ্বালানী শক্তি নির্বাচন, এটি ছাড়া গণতন্ত্র এগুবো না : রুহুল কবির রিজভী





পিআর প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, দেশের মানুষ পিআর বুঝেনা, আমরাও বুঝিনা। এখন যারা পিআর পিআর করছেন তারা এক বছর আগে দুই বছর আগে পাঁচ বছর আগে বলেননি কেন? আপনি এখন কেন এটা নিয়ে বিভান্তি তৈরী করছেন? জনগণ জানে তার পছন্দমতো প্রার্থীকে সে ভোট দিবে। পছন্দমতো প্রার্থীকে তাকে তো চিনতে হবে, এলাকার এমপি হবে কে। আপনি চিনলেন না, আপনি ভোট দিলেন একটি মার্কায়; তারপর হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখলেন অমুক লোক আপনাদের প্রার্থী, আপনাদের ভাল লাগবে? কিন্তু কিছু কিছু দল এটা নিয়ে আসছে আনুপাতিক নির্বাচন। পিআর, এটা জনগণের সাথে এক ধরণের প্রতারণা করা, বিভ্রান্তি তৈরী করা, জনগনের মনকে অন্য দিকে সরিয়ে দেয়া, জনগন এটা কখনো মেনে মিবেনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্স্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক হাজী এয়াছিন, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম, আমরা বিএনপি পরিবার এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমান, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান ওয়াসিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুজ্জামান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু প্রমুখ।