আগামী সালের নতুন সরকারের দেশ পরিচালনায় আর্থিক সক্ষমতা কেমন হতে পারে?
এন বি আরের জটিলতায় রাজস্ব না বাড়ায় আগামী নির্বাচিত সরকার চরম বিপদে পড়বে।





দীর্ঘ বছর যাবত উল্লেখযোগ্য কতেক উদ্যোক্তা ব্যাংক লোনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত করেছেন বটে। উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের টাকার উৎস থেকে, ব্যাংক লোনের পরিমাণ বেশি। শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগে কমবেশ বেকারত্ব কমেছিল। সরকারও রাজস্ব পেয়েছিলেন। গত ০৫ আগষ্ট ২০২৫ তারিখের পর শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক সহ অনেক ব্যবসায়ী নানাহ কারনে দেশ ত্যাগ করেছেন। আবার অঘোষিত ভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। ব্যাংকের লোনের টাকা অনাদায়ের কারনে ব্যাংক প্রায় দেউলিয়ার পথে। অনেক ব্যাংক সাধারণ গ্রাহকের আমানতের টাকা দিতে পারছেন না। নতুন বেকারত্ব সৃষ্টির কারনে শ্রমিক ঘর সংসার সহ সন্তানের ভরন পোষণ দিতে হিমশিম খাইতেছেন। ফলে চুরি ছিনতাই নিত্য দিনের ঘটনা। আবার রাজস্ব বোর্ড নতুন করে বলছেন OTP সংগ্রহ করে করদাতাদের আয়কর রিটার্ন অন লাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক। এইটাও রাজস্ব আহরণের একধরনের বাধা সৃষ্টি। তবে বলার অভিভাবক নাই। আমার প্রশ্ন ও উত্তর এবং মতামত যে সকল করদাতা নানাহ কারনে দেশের বাহিরে অবস্হান করছেন, যে সকল করদাতা ইতিমধ্যেই ফোন নম্বর বদল করে ফেলেছেন, যেসকল করদাতা ইতিমধ্যে জেল হাজতে আছেন, যে সকল করদাতা লুকিয়ে আছেন বিধায় তাদের সহিত যোগাযোগ করা আইনজীবীদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা সে সকল করদাতার আয়কর রিটার্ন কিভাবে অন লাইনে দাখিল করা যৌক্তিক হবে ? আমি মনে করি এ নিয়মের কারনে সরকার বড় আকারের রাজস্ব থেকে আপাতত বঞ্চিত হবেন। এ বিষয়ে সরকার বা রাজস্ব বোর্ডকে নতুন করে ভাবতে হবে। নচেৎ আগামী নতুন সরকার অর্থনৈতিক মন্দার চাপের মুখে পড়তে পারেন। সরকার প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা কতোখানি সামাল দিতে পারবেন? অন্য দিকে টাকা পাচার চক্রোতো আর থেমে নাই। শিল্প প্রতিষ্ঠান জালাও পোড়াও এবং শ্রমিকদের চাকরি হারিয়ে বেকারত্বের হার বেড়েই চলছে। ব্যাংক খ্যাতও নতুন করে শিল্পে মূলধনের যোগান দিতে অপারক। কারন মালিক বিহীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব কে নিবে? ইতিমধ্যেই দেশে প্রচুর শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে বিধায় সরকারের রাজস্ব আদায় সন্তোষজনক নহে। আবার সরকারের বিভিন্ন সংস্থা করদাতাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ফলে করদাতারা ট্যাক্সের টাকার চালান কাটতে পারছেন না। অপর দিকে রাজস্ব বোর্ডে চাকরি হারানো আর বদলীর আতংকতো দৈনন্দিনের ব্যপার। এর ফলে রাজস্ব বিভাগে কাজ কর্ম ও রাজস্ব আদায় ধীরগতি। নতুন কর অঞ্চল ও কর সার্কেল বৃদ্ধির তুলনায় জন বল সংকট। নতুন ভাবে সার্ভে টিমের মাধ্যমে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি সন্তোষজনক নহে। যুগ যুগ ধরে দেশের অসংখ্য মানুষকে আজও করদাতা হিসাবে সনাক্ত করন সম্ভব হয়নি । বাংলাদেশে যাদের আয়কর দেওয়ার ক্ষমতা আছে তারা যদি সঠিক ভাবে রাজস্ব দিতো তাহলে বাংলাদেশ বিদেশী ঋণের উপর নির্ভরশীল হতে হতো না। তবে আয়করের টাকা কোথায় কিভাবে ব্যবহার হয় সে বিষয়ে জনগনকে অকিবহাল করতে হবে। সরকার টাকা পাচার কেন ঠেকাতে পারেন না, তা জনগনকে বলতে হবে কারা জড়িত। মোট কথা কেউই চান না নতুন ও সাধারন আইনজীবীরা ভাল থাকুক। রাজস্ব বোর্ডকেই বলতে হবে করদাতারা কেন এবং কি কারনে দোকানে গিয়ে আয়কর রিটার্ন অন লাইনে দাখিল করেন এবং আবার অনেকেই শূন্য রিটার্ন অন লাইনে দাখিল করছেন। চাকা ছাড়া যেমন গাড়ি চলে না তেমননি টাকা ছাড়াও রাষ্ট্র চলে না। এডঃআববাস উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোট ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক সভাপতি ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েসন।