বিনোদন ডেস্ক, বাংলার ডাক: বলিউডের মেগাস্টার সালমান খান মানেই পর্দায় অ্যাকশন আর রোমান্সের দাপট। তবে প্রায় দুই দশক আগে এক স্পর্শকাতর সামাজিক ইস্যুতে জনসচেতনতা তৈরিতে তিনি যে নজির স্থাপন করেছিলেন, তা আজও অনেককে বিস্মিত করে। ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফির মিলেঙ্গে’ সিনেমায় একজন এইচআইভি পজিটিভ রোগীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এই সুপারস্টার পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন মাত্র এক টাকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিনেমাটির প্রযোজক শৈলেন্দ্র সিং সালমানের সেই অজানা মহানুভবতার কথা প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, দুই দশক আগে বলিউডে এইচআইভি বা এইডসের মতো বিষয় নিয়ে কাজ করা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাহসের ব্যাপার। অধিকাংশ জনপ্রিয় নায়ক যখন পর্দায় নিজেদের বীরত্বপূর্ণ প্রতিচ্ছবি (Heroic Image) ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত, তখন সালমান বেছে নিয়েছিলেন একজন মুমূর্ষু যুবকের চরিত্র। কেন এই সাহসী সিদ্ধান্ত? শৈলেন্দ্র সিংয়ের ভাষ্যমতে, সালমান এই চরিত্রে অভিনয়ের পেছনে কোনো বাণিজ্যিক স্বার্থ দেখেননি। মূলত এই রোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের জড়তা কাটানো এবং বিশেষ করে যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল তার মূল লক্ষ্য। সে সময় তিনি বলিউডের অন্যতম শীর্ষ নায়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন এক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যার পরিণতি ছিল মৃত্যু। ইমেজের চেয়ে উদ্দেশ্য বড় সাধারণত বড় তারকারা সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্দার কেন্দ্রীয় আকর্ষণে থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু নিজের ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ইমেজের মায়া ত্যাগ করে সালমান কেবল মহৎ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ছবিটি করেছিলেন। প্রযোজক মনে করেন, একজন সুপারস্টার হয়েও নিজের ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সালমানের প্রকৃত মানবিক সত্তাকেই ফুটিয়ে তোলে।
মহৎ উদ্দেশ্যে সালমানের অনন্য ত্যাগ: ‘ফির মিলেঙ্গে’র জন্য নিয়েছিলেন মাত্র ১ টাকা