স্বপ্নের ঠিকানা’র নায়িকা সোনিয়া পলিটিক্সের শিকার ‘?

Total Views : 99
Zoom In Zoom Out Read Later Print

প্রতিবছর চলচ্চিত্রে নতুন নতুন মুখের আগমন ঘটে। কেউ কেউ নিজ গুণে টিকতে পারেন, আবার কেউ কেউ তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গন ছেড়ে চলে যান। আবার অনেকে বিদেশে গিয়ে সংসারি হয়েছেন। তেমনই একজন নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা রোকসানা হাসি সোনিয়া। দুই যুগের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন তিনি। ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ খ্যাত এই অভিনেত্রী নাকি পলিটিক্সের শিকার হয়েছিলেন। তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিনেমা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হতো অথবা সিনেমায় তার সংলাপ বা গান বাদ দিয়ে দেয়া হতো বলে জানিয়েছেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোনিয়া বলেন, সে সময়ে আমার বয়স ছিল কম। আমার সঙ্গে অনেক পলিটিক্স করা হয়েছে। সেগুলো তখন বুঝতে পারিনি। এখন মনে পড়লে বুঝতে পারি কতটা পলিটিক্সের মধ্যে দিয়ে আমাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে।

নায়ক রাজ রাজ্জাকের হাত ধরেই নায়িকা হয়েছিলেন সোনিয়া। রিয়াজের প্রথম সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ওমন সানীর সঙ্গে তার দ্বিতীয় সিনেমা। ওই সময় তার ক্যারিয়ার আরও ভালো হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। 

ফিল্ম পলিটিক্সের প্রসঙ্গে সোনিয়া বলেন, আমার সাইন করা সিনেমায় অন্য নায়িকা কাজ করেছেন। চুক্তিবদ্ধ হওয়া সিনেমা থেকে আমাকে বাদ পড়তে হয়েছে। একটি সিনেমার কথা বলি, সে সিনেমায় ওমর সানী-মৌসুমী আপা শুটিং করছেন। দুই দিন পর আমার শুটিং করার কথা ছিল। আমি চুক্তিবদ্ধও ছিলাম। কিন্তু শুটিংয়ের আগের রাত জানতে পারি আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, শাবনূরের সঙ্গে একটি সিনেমা থেকে আমার সংলাপ ও গান বাদ দেওয়া হয়েছে। এমন আরো অনেক কিছু আমার সঙ্গে ঘটেছে। আরো একটি সিনেমায় আমাকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখানো হয়েছে। এটাকেই ফিল্ম পলিটিক্স বলে তখন জানতাম না।

১৯৯১ সালে ‘মাস্তান রাজা’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সোনিয়ার চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু। এরপর অভিনেতা রাজ্জাকের নির্দেশনায় বাপ্পারাজের বিপরীতে ‘প্রেম শক্তি’ সিনেমায় প্রথম নায়িকা চরিত্রে কাজ করেন। ১৯৯২ সালে আফজাল হোসেন ও সাইদুল আনাম টুটুলের বিজ্ঞাপনে তিনি মডেল হয়েছিলেন। সোনিয়া সর্বশেষ অভিনয় করেন দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘শুভ বিবাহ’ চলচ্চিত্রে। এরপর আর কোনো সিনেমায় তাকে দেখা যায়নি।

See More

Latest Photos