১৬ বিলিয়ন ডলার লাভ করছে মেটা ভুয়া বিজ্ঞাপন থেকে বছরে

Total Views : 27
Zoom In Zoom Out Read Later Print

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্মস। যার অধীনে রয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় সব সামাজিক মাধ্যম। সম্প্রতি একটি বিতর্কিত তথ্য সামনে এসেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটার মোট বার্ষিক আয়ের একটি বড় অংশ আসে ভুয়া ও প্রতারক বিজ্ঞাপন থেকে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মেটার মোট আয়ের প্রায় ১০ শতাংশ (যা প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার) এসেছে এই ধরনের বিজ্ঞাপন থেকে। কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, গত তিন বছর ধরে মেটা অবৈধ জুয়া, ভুয়া বিনিয়োগ স্কিম এবং নিষিদ্ধ ওষুধের প্রচার ঠেকানোর জন্য কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এসব বিজ্ঞাপন সাধারণত এমন পণ্য বা সেবা প্রচার করে, যা বাস্তবে অস্তিত্বহীন, এবং এতে অনেক ব্যবহারকারী প্রতারণার শিকার হন। মেটার একটি স্বয়ংক্রিয় বিজ্ঞাপন শনাক্তকরণ ব্যবস্থা রয়েছে, তবে কোম্পানি তখনই কোনো বিজ্ঞাপনদাতার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে, যখন তারা ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত হয় যে বিজ্ঞাপনটি প্রতারণামূলক। এর আগে মেটা সেই বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে, আর বিজ্ঞাপনগুলো চালু রাখে। এর ফলে মেটার আয়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে।

এ বিষয়ে মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, এই প্রতিবেদনটি মেটার নীতির ভুল ব্যাখ্যা করেছে। তিনি দাবি করেছেন, গত ১৮ মাসে মেটা প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন সম্পর্কিত ব্যবহারকারীর অভিযোগ ৫৮ শতাংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে এবং ১৩ কোটি ৪০ লাখ ভুয়া বিজ্ঞাপন সরিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি মেটা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও স্বার্থকে প্রাধান্য দিত, তবে তারা বিজ্ঞাপন যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আরো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখাচ্ছে, মেটার কাছে রাজস্ব আয়ই বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর এতে ব্যবহারকারীর আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

প্রযুক্তিবিদরা সতর্ক করে বলছেন, যদি মেটা এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে ভবিষ্যতে এটি ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস হারাতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড ভ্যালু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

See More

Latest Photos