সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক
নির্বাচনকে রক্ষা করা যাবে কি: সারোয়ার তুষার
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে দেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন— 'নির্বাচনকে রক্ষা করা যাবে কি?'
সারোয়ার তুষার বলেন, "ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়ে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হয়। সেরকম কোনো উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।" তিনি উল্লেখ করেন, তিনটি 'ভুয়া নির্বাচনের' পর এবার নির্বাচন হচ্ছে। তাই "পুরো দেশবাসী এবং বাইরের বিশ্বসহ সবার প্রত্যাশা যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।"
তিনি বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা অনেকবার বলেছেন যে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নির্বাচন করবেন, ঐতিহাসিক নির্বাচন করবেন। সর্বশেষ তিনি বলেছেন যে দেশ রক্ষা নির্বাচন করবেন। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি সেরকম কোনো আভাস কিংবা ইঙ্গিত দিচ্ছে না।" তুষার প্রশ্ন তোলেন, "বাংলাদেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন দূরে থাক, স্ট্যান্ডার্ড সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো পরিবেশ এখন আছে কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়।"
পেশিশক্তি প্রদর্শনের অভিযোগ
এনসিপি'র এই নেতা অভিযোগ করেন, "বড় দলগুলোর মধ্যে পেশিশক্তি দেখানোর একটি মানসিকতা দেখা যাচ্ছে।" তিনি বাইক শোডাউনের কথা উল্লেখ করে বলেন, "সেই বাইক শোডাউনগুলোতে এই পর্যন্ত সারা দেশে সম্ভবত তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।"
তিনি সাবেক মন্ত্রীর শাহজাহান চৌধুরীর প্রকাশ্য জনসভার বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "তিনি প্রকাশ্য জনসভায় বলেছেন, আমাদের অধীনে সমস্ত প্রশাসনকে নিতে হবে। আমাদের কথামতো গ্রেফতার হবে, আমাদের কথামতো মামলা হবে এবং তারা আমাদেরকে প্রোটোকল দেবে। প্রশাসনকে আগেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে হবে।"
তুষার আরও বলেন, শাহজাহান চৌধুরী এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কথাও বলেছেন, কারণ নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। ফলে তাঁর উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। তিনি উল্লেখ করেন, "এই বক্তব্য দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত এক-দুই দিন কেটে গেল। কিন্তু জামায়াতের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি চোখে পড়ে নাই।"