'শোলে'-র বীরুর চিরবিদায়ে শোকাহত 'জয়', সামাজিক মাধ্যমে আবেগময় পোস্ট
এক অদ্ভুত শূন্যতা, চারপাশের বাতাস যেন কমে গেছে: বন্ধু ধর্মেন্দ্রের প্রয়াণে অমিতাভ
দীর্ঘদিনের বন্ধু ধর্মেন্দ্রের প্রয়াণের খবর পেয়েই বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন দ্রুত পুত্র অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতার কাছে। বন্ধু 'বীরু' (ধর্মেন্দ্র) যখন অন্তিমশয্যায়, শোকস্তব্ধ 'শাহেনশাহ' (অমিতাভ) তখন চুপচাপ তাকিয়ে দেখছিলেন। একসময় রুপালি পর্দায় গানে গানে তাঁরা যে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন, সেই প্রতিজ্ঞার মর্যাদা রাখলেন 'জয়'।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বন্ধু 'বীরু' চিরবিদায় নিলে, সেই রাতের গভীরতায় স্মৃতি হাতড়ে অমিতাভ সামাজিক মাধ্যমে একটি আবেগময় পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, "এক অদ্ভুত শূন্যতা! চারপাশের বাতাস যেন কমে গেছে।"
ধর্মেন্দ্রের চলে যাওয়া অমিতাভের মনে এক বিরাট শূন্যতার জন্ম দিয়েছে, যা তাঁকে গ্রাস করেছে। তিনি আরও লিখেছেন, "এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। আরেক স্তম্ভ চিরবিদায় নিলেন, জীবনের রঙ্গমঞ্চ ছেড়ে। অজস্র কোলাহলের মাঝে এক গভীর নিস্তব্ধতা তৈরি করে গেলেন।" তিনি তাঁদের অমর বন্ধুত্বের গানটিকে স্মরণ করে লেখেন— 'ঠিক যেভাবে ‘জয়’ আর ‘বীরু’র বন্ধুত্ব ফুরাবার নয়— ‘ইয়ে দোস্তি হম নহি তোড়েঙ্গে’…।'
রমেশ সিপ্পির কালজয়ী সিনেমা 'শোলে'-র এই দুই বন্ধু সবসময়ই পুরস্কার মঞ্চে বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে একে অপরের সঙ্গে গভীর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হতেন। এই বছর সেই সিনেমাটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি। এরই মধ্যে সেই জুটি ভেঙে চিরদিনের মতো হারিয়ে গেলেন এক 'দোস্ত'।
ধর্মেন্দ্রের অন্তিমযাত্রায় অংশ নেওয়ার পর রাতের গভীরতায় অমিতাভ বচ্চন উপলব্ধি করেন, ধর্মেন্দ্র কেবল দীর্ঘদেহী পাঞ্জাবি ছিলেন না, তাঁর মনটাও ছিল আকাশের মতো উদার। "পাঞ্জাবের এক টুকরো মায়াঘেরা সবুজ, সারল্য আর উষ্ণতা বুকে নিয়ে ঘুরতেন। তাই রুপালি পর্দার পরাক্রমী নায়কের হাসি শিশুর মতোই সরল," লেখেন অমিতাভ। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বলিউড আর সেই মাটির গন্ধ পাবে না।